Wednesday, December 29, 2010

ডিএসইতে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে





ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বুধবার সাধারণ সূচক ও আর্থিক লেনদেন দুইই বেড়েছে। তবে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, চাঙাভাবের মধ্য দিয়ে আজ লেনদেন শুরু হয়। লেনদেনের আধা ঘণ্টার মধ্যে সূচক প্রায় ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের তীর ওঠানামা করতে থাকে। তবে দিন শেষে দেখা যায়, সাধারণ মূল্যসূচক আট দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে ৮২১৫ দশমিক ০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আজ ডিএসইতে মোট এক হাজার ৪৭৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে ১১২ কোটি টাকা বেশি। এদিকে লেনদেন হওয়া ২৪৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১০১টির কমেছে ১৪১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে পাঁচটির দাম।
আজ ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো—প্রাইম ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, তিতাস গ্যাস, উত্তরা ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও ইসলামী ব্যাংক।
আজ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে রহিম টেক্সটাইলের শেয়ারের দাম। এ ছাড়া মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্স, উত্তরা ব্যাংক, বঙ্গজ লিমিটেড, প্রথম জনতা ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড, প্রাইম ব্যাংক, আইএফআইএল ইসলামী মিউচুয়াল ফান্ড ১, সিটি ব্যাংক, মুন্নু জুটেক্স ও জুট স্পিনার্স দাম বাড়ায় শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে। 
এ দিকে আজ সবচেয়ে বেশি কমেছে দুলামিয়া কটনের শেয়ারের দাম। এ ছাড়া এইচ আর টেক্সটাইল, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স, হাক্কানী পাল্প, মেঘনা সিমেন্ট, পাইওনিয়ার ইনসুরেন্স, গ্রীন ডেল্টা, কেয়া কসমেটিকস, সাভার রিফ্রেক্টরিজ ও প্রাইম ইনস্যুরেন্স দাম কমে যাওয়া শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে।
আজ ডিএসইর বাজার মূলধন তিন লাখ ৪৮ হাজার ৬৯ কোটি টাকা।

মিউচুয়াল ফান্ডের মার্জিন ঋণের ক্ষেত্রে শর্ত প্রত্যাহার করেছে এসইসি



মিউচুয়াল ফান্ডের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউনিটের বাজারমূল্য প্রকতৃ সম্পদমূল্যের (এনএভি) দেড় গুণের মধ্যে থাকার শর্ত প্রত্যাহার করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। আজ বুধবার কমিশনের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো আগামী ২ জানুয়ারি থেকে এনএভির হিসাব ছাড়াই মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট কেনার জন্য গ্রাহকদের ১:১.৫ হারে মার্জিন ঋণ দিতে পারবে। এসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবির ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আনোয়ারুল কবির আরও জানান, সভায় মিউচুয়াল ফান্ডের প্লেসমেন্ট বরাদ্দের ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ সীমা ১০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ লাখ করা হয়েছে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্লেসমেন্ট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো সীমা থাকছে না। তিনি আরও জানান, এখন থেকে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে দরপ্রস্তাব (বিডিং) প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে। সম্পদ ব্যবস্থাপনা মিউচুয়াল প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আওতাধীন প্রতিটি মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য পৃথকভাবে দরপ্রস্তাবের মাধ্যমে কোম্পানির ইউনিট বরাদ্দের জন্য আবেদন করতে পারবে।
এর আগে সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির (এএএমসি) একটি প্রতিনিধিদল এসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। ওই বৈঠকে মার্জিন ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে বাজারমূল্য প্রকৃত সম্পদমূল্যের (এনএভি) দেড় গুণের মধ্যে থাকার শর্ত তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের অনীহা দূর করতে এসইসির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Monday, December 20, 2010

বাজার সামাল দিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এসইসির

 


শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) আজ সোমবার সকালে শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার সাংবাদিকদের কথা জানান
এসইসির য়ারম্যান জানান, বৈঠকে বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক অবস্থা ধরে রাখতে দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
জিয়াউল হক খোন্দকার আরও জানান, বাজারের তারল্য সংকট কাটানোর লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব মিলিয়ে বাজার দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গতকাল রোববার দেশের দুই শেয়ারবাজারে ভয়াবহ দরপতন ঘটে। সাধারণ সূচকও নেমে যায় ৫০০-রও বেশি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজকের সভা আহ্বান করা হয়। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক, এফবিসিসিআই, ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন

Wednesday, December 8, 2010



ডিএসইতে ব্যাপক দরপতনে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ, ভাঙচুর

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বুধবার ব্যাপক দরপতন হয়েছে। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টা শেষে দুপুর ১২টা পাঁচ মিনিটে সাধারণ মূল্যসূচক ৪১৯ পয়েন্ট কমে যায়।
এ ঘটনায় বিনিয়োগকারীরা ১২টা ১০ মিনিটে ডিএসইর সামনের সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা দুটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করেন এবং ডিএসইর মূল ফটকে ইটপাটকেল ছোড়েন। রাস্তায় কাগজপত্র পুড়িয়ে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেলা দুইটার দিকে পুলিশ রাস্তা থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সার্বিক পরিস্থিতিতে ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহুরুল আলম বলেন, ‘আমি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন অভিযোগ শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’